Predatory Journal হচ্ছে সেই সব জার্নাল যারা অর্থের বিনিময়ে যথেষ্ট যাচাই-বাছাই ছাড়াই Research Paper পাবলিশ করে থাকে। Predatory Journal এ Research Paper পাবলিশ করে সাময়িক সুবিধা লাভ করলেও দীর্ঘমেয়াদে এই পাবলিকেশন অথোরের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়।
Predatory Journal এ প্রকাশিত কোন Research Paper কে ত্রুটিপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হয়। এক্ষেত্রে আপনি যদি প্রমোশনের জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতারনার আশ্রয় নেন তবে আপনাকে শাস্তি স্বরূপ আপনার প্রাপ্ত সুবিধাগুলো ফিরিয়ে নেয়া হতে পারে। এর বাজে প্রভাব পরবর্তী কাজগুলোতে পড়ে, দেখা যাবে আপনার যৌক্তিক, ত্রুটিহীন কাজগুলোকে বাঁকা চোখে দেখা হচ্ছে। এখন এমনটা যদি হয় আপনি সবে গবেষনা পত্র প্রকাশ করা শুরু করেছেন। আপনি আসলে খুব ভালো জানেন না কিভাবে Predatory Journal চিনতে হয়। একটা Paper পাঠালেন ওরা হয়তো কিছু ফি নিয়ে Research Paper প্রকাশ করলো। প্রকাশের পরে আপনি জানতে পারলেন কোন Predatory Journal এ Paper টা প্রকাশিত হয়েছে। এখন কি করবেন?
এক্ষেত্রে উক্ত জার্নাল এ লিখিতভাবে জানাতে হবে যেন তারা আপনার Paper টা retract করে দেয়। দ্বিতীয়’ত আপনার অনলাইন বা অফলাইন CV থেকে ঐ পেপারের রেফারেন্স সরিয়ে নেওয়া জরুরী।
কিভাবে চিহ্নিত করবেন কোন জার্নাল Predatory Journal কিনা?
কিছু সাধারণ লক্ষণ যা কী না বেশিরভাগের Predatory Journal এর মাঝেই দেখা যায়-
১) পেপার সাবমিশনের পর peer review ব্যতীত এক্সেপ্ট হয়ে যাবে।
২) সাধারণত পেপার পাবলিকেশনে অল্প টাকা চার্জ করা হয়।
৩) দেখা গেল আপনি একজন উঠতি ভালো গবেষক কিন্তু অপরিচিত কোন জার্নাল থেকে হুট করেই ইমেইল করা হলো যে আপনাকে তারা editorial board এ চাচ্ছে বা আপনাকে পেপার সাবমিট করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছে। সেক্ষেত্রে সাবধান ভালো করে যাচাই করে নিন।
৪) এমনও পেতে পারেন যে Predatory Journal এর নাম বিখ্যাত কোন Journal এর নাম নকল করে বা আংশিক চেঞ্জ করে করা হয়েছে।
৫) অথবা এমনও হতে পারে Journal authority দাবি করছে তারা প্রতিষ্ঠিত কিন্তু আপনি তাদের কোন ভিত্তি খুঁজে পাচ্ছেন না।
৬) এ ধরনের Journal এ International Standard Serial Number সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয় না।
৭) ওয়েব সাইটের গঠন খুবই দূর্বল প্রকৃতির হয়ে থাকে।
৮) অনেক প্রিডেটোরি জার্নাল পেপার সাবমিশনের ক্ষেত্রে ইমেইল বা WhatsApp ব্যবহার করে।
৯) কিছু কিছু জার্নাল তাদের ওয়েবসাইটে বেশ ভালো ভালো ইনডেক্সের কথা লিখে রাখলেও, সেসব ইন্ডেক্সে এসব জার্নালের কোন ডেটাবেজ পাওয়া যায় না।
১০) এধরনের জার্নালে ডাবল পিয়ার রিভিউ লেখা থাকলেও আদতে কোন রিভিউ ছাড়াই এরা পেপার পাবলিশ করে দেয়।
১১) এ ধরনের জার্নালের এডিটরদের বাস্তবে কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না বা লিংকডিনে প্রোফাইল দেখা যায় না।
তবে এক্ষেত্রে ব্যতীক্রমও আছে। যেমন – অনেক Open Access Journal আছে যারা কী না বিশ্বাসযোগ্য। এদের মূল উদ্দেশ্য দুনিয়ার অন্নুনত/উন্নয়নশীল গবেষক ও পাঠকদের কে আলোকপাত করা। ব্যাপারটা একটু ঘুরিয়ে বললে প্রায় সব Predator Journal ই Open Access Journal কিন্তু সব Open Access Journal ই Predator Journal নয়।
Predatory Journal Identification এ আমরা University of Colorado Denver এর লাইব্রেরিয়ান এবং গবেষক Jeffrey Beall এর web site এ চোখ রাখতে পারি। শর্ষেতে ভূত আছে মানে Open Access Journal এর মধ্যে Predator আছে বিষয়টা উনিই প্রথম আলোকপাত করেন। এক পর্যায়ে ওনার গবেষনার বড় একটা অংশ হয়ে দাঁড়ায় Predator খুঁজে বের করা। Mr.Beall এর ওয়েব সাইটে Predator দের খুঁজে পাওয়া যাবে (https://beallslist.net)।
অনেক নতুন Predatory Journal এই লিস্টে নাও থাকতে পারে, কারন এই লিস্টটাকে আপডেট করতে হয়। পাশাপাশি জার্নাল চুজ করার সময় Scopus, web of science, Doaj indexed আছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া গেলে প্রিডেটোরি জার্নালের ফাঁদে পড়ার আশংকা অনেকটাই কমে যাবে। আবার এসব ইন্ডেক্সড ব্যতীত কিছু কিছু জার্নাল আছে যা কী না কোন ইউনিভার্সিটি তত্ত্বাবধান করে থাকে, এই জার্নালগুলোও অনেক ভালো হয়।
Leave a Reply